ডিমের বাজার নজরদারীতে ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’

নারায়ণগঞ্জে লাগামহীন ডিমের বাজারে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। কোনোভাবেই কমছে না দাম। বেসামাল হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। পাইকারি ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৭০ টাকায়। আর খুচরা প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়। যদিও সরকার প্রতি পিস ডিমের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। তবে বাজারে এর কোনো প্রতিফলন নেই। এতে করে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে।

জানা যায়, ডিমের দাম ভোক্তার ক্রক্ষমতার মধ্যে রাখতে গত সেপ্টেম্বরে আমদানির অনুমতি দেয় তৎকালীন সরকার। এরপর দাম বেঁধে দেয়া হয়। সে প্রেক্ষিতে খুচরায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। প্রতি পিস ডিমের জন্য ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকারও বেশি!

সকালে দিগু বাবুর বাজারে আসা একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে যে পরিমান দ্রব্যমূল্যর উধ্বগতি এতে আমাদের প্রতিনিয়ত হিমশীম খেতে হয়। আমরা সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ তো মাছ মাংসের ধারে কাছেও যেতেই পারি না। আমাদের একমাত্র ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিলো ডিম। ডিমটা আমাদের দরকার। অন্তত ডিমের ডামটা কমায় রাখুক। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে ডিম খাবো কীভাবে! আগে প্রতিদিন ডিম খেতাম। এখন বাসায় বলে দিয়েছি, সপ্তায় দুদিন খাবো।

এদিকে, সরকার নির্ধারিত দামে ডিম কিনতে ও বিক্রি করতে না পারার অজুহাতে সংগ্রহ বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের কোথাও কোন ট্রাক ডিম আনতে দেখা যায়নি। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ বন্ধ থাকবে।

নাম না প্রকাশে এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে একটা রেট বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা নির্ধারণ দামে ডিম কিনতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা গাড়ি বন্ধ করে রেখেছি। সরবরাহ বন্ধ থাকলে নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিন কয়েক লাখ পিস ডিমের ঘাটতি থাকবে।

এদিকে, সোমবার (১৪ অক্টোবর) দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গঠিত “বিশেষ টাস্কফোর্স” নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্তৃক পরিচালিত অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে এক ব্যবসায়ীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিশেষ টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্য সচিব মো. সেলিমুজ্জামান জানান, সোমবার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গঠিত “বিশেষ টাস্কফোর্স” নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে পরিচালনা করা হয়। এ সময় অধিক মূল্যে ডিম বিক্রয় করার দায়ে দেলপাড়া বাজারে অবস্থিত শাকিল শাকিব ডিম হাউসকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ এবং আদায় করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *