গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে সিদ্ধিরগঞ্জের দৃষ্টিনন্দন ডিএনডি লেক। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার আগেই বৃষ্টির পানিতে ডুবেছে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যে তৈরি করা শতকোটি টাকার লেক পাড়। তবে এতে কোনো নজর নেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের।
ঢাকার কাছেই শিল্প বাণিজ্যিক নগর ও গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া হিসেবে বেশ পরিচিত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা। এতদিন সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর শীতলক্ষ্যা নদীঘেঁষা পৌনে তিন কিলোমিটার ওয়াকওয়ে ছাড়া ছিল না কোনো বিনোদন কেন্দ্র। তবে লেকের কাজ শুরুর পর থেকে এখানকার বাসিন্দাদের বিনোদনের খোরাক মেটাচ্ছে শত কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মাণাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ লেক। এই লেকটিতে বিকেল হলেই ভিড় করতেন শতশত দর্শনার্থীরা। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে লেকটিতে ঢল নামতে দেখা যেতো হাজারও দর্শনার্থীদের। ঢাকা থেকেও অনেকে আসতেন নিরিবিলি এই পরিবেশে।
তবে রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ডিএনডি লেক পাড়ে গিয়ে ভিন্ন দৃশ্যের দেখা মেলে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বিনোদনের খোরাক মেটানো ডিএনডি লেক পাড়ে বসার ভাসমান মঞ্চগুলো পানিতে তলিয়ে আছে। যার ফলে জনশূন্য হয়ে আছে লেক পাড়ের অংশটি। আরও লক্ষ্য করা গেছে, লেক পাড়ের একটি মঞ্চের সামনে ময়লার স্তুপ হয়ে পানিতে ভাসছে। এদিকে শতকোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা ডিএনডি লেকের সৌন্দর্য নষ্ট হলেও তার দিকে লক্ষ্য নেই সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তাদের। লেক পাড় সংলগ্ন মজিববাগ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম বলেন, প্রতিদিন বিকেলে এসে এখানে বসে সময় কাটাই। লেক পাড়টি হওয়াতে আমাদের জন্য উপকার হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বসতে পারছি না। সিটি করপোরেশন পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নিলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ লেক পাড়ের সামনে দাড়িয়ে থাকা রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, প্রায় সময় অফিস শেষ করে অথবা রাতে বন্ধুদের নিয়ে এখানে বসে আড্ডা দেই। নির্মল বাতাসের জন্য এখানে আড্ডা দিতে ভালো লাগে। আজও এসেছিলাম বসার জন্য, তবে এসে দেখি বসার মতো স্থান নেই মঞ্চ ডুবে আছে। পানি কমানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে (নাসিক) ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টি হওয়াতে পানি বেড়ে গিয়েছে তাই মঞ্চগুলো তলিয়ে আছে। তবে আমাদের নিয়ম হলো ডিএনডির লেকের বসার মঞ্চগুলোর মাপ অনুযায়ী পানি বেড়ে গেলে পানি কমানোর। জনস্বার্থে আমি আগামীকাল সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান খান রিপন জানান, বৃষ্টির পানিতে এমন হয়েছে, আসলে এখন আমাদের কোনো করনীয় নেই। কারণ ডিএনডির লেকের পানির মাঝখানে একটি নালা রয়েছে। সেটি ঠিক করা হলে পানিটা সমান হবে। আমি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা বলেছেন আপাতত নয়, কারণ এখন যদি নালার কাজ ধরে তাহলে পানি বেড়ে তাদের প্রজেক্টের কাজের সমস্যা হবে।